ক্রিয়াপদ
গৌরাঙ্গ মণ্ডল
সমগ্র, তোমাকে
জানি। ৯০ ভাগ রিক্ততা নিয়ে
হন্ হন্ শব্দে
হাঁটো মুদির দোকান ছেড়ে শব্দহীন চর..
একটার পর
আরেকটা অঙ্কের খাতা শেষ করেও
আজ অবধি জল
স্থল সমান করতে পারো নি। আর,
পারবেও না
কোনোদিন।
একটা অব্যয়ে
কখনও সমস্ত জুড়ে দেওয়া সম্ভব!!!
না। বরং
স্পষ্ট আরো---- ক্ষয়িষ্ণু অব্যয় যেন
ঝুলন্ত হাইফেন
কিংবা সাঁকোর মতোই
জলজ অলিন্দ
চিরে হয়ে ওঠে দৃশ্যোজ্জ্বল।
নিজেই। অথচ--
আমরা বুঝতেও
পারিনি-- কখন যে ক্রিয়াপদ গুলো
বাক্যে
বিশেষ্য ছাড়িয়ে আরেক বিশেষ্য হয়ে গেছে..
পরিমাপ
আগুনে হাঁটছি।
দুপাশে কাঁধেরা দগ্ধ,
চোখ বুজে
দেখি-----রাষ্ট্রপুঞ্জ গলছে।
আগুনে বৃষ্টি
, বৃষ্টি আগুনে বদ্ধ
চাবি গোছা যেন
বিভ্রমে কিছু বলছে।
অগ্ন্যুৎপাত
স্নিগ্ধ অঝোর দুপুরে
মাঝে মাঝে খসে
সান্ত্বনা কিবা বৃষ্টি।
উচ্ছল স্রোতে
পৃথিবী ভাসছে পুকুরে,
কিছু জল্পনা
যেমন গিলেছে সৃষ্টি।
তুমি তো
এঁকেছো আকাশ কুসুম ভাবনা,
উনপাঁজুরের
অস্ত্রে ভীষণ রক্ত!
কেনো ডাক দাও
অমাবস্যার জ্যোৎস্না?
আদো কি ছিলাম
এতোটা শক্তপোক্ত !
ট্রামের গতিকে
ভুলের আঙুলে গুনেছো,
বিনিময়ে আমি
পূণ্য সকাল মাপিনি।
ভুলচুক ভুলে
তুমিতো কবেই বেঁচেছো
মৃত্যুকে
ছুঁয়ে, আমিতো এখনও মরিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন