রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮

সাদা পায়রা




সাদা পায়রা
শুভ্রজিৎ দত্ত 

কোথাও শান্তি নেই আজ,
জানি না কোথায় হারিয়ে গেছে অশোকের সেই তাজ
কিংবা আছে,মাথায় পরার মানুষ হয়তো নেই
কে জানে কীভাবে পৃথিবী হঠাৎ হারিয়ে ফেলল খেই!
সেই কোনকালে বুদ্ধের বলা শান্তির বাণীগুলো
আজকে ফ্রান্সে,মধ্যপ্রাচ্যে হয়েছে পথের ধুলো
ধর্ম আজকে মারতে শেখায়,বাঁচতে শেখায় না,
ঐ ধর্মান্ধ মানুষগুলোর নেই কোনো আয়না
থাকলে হয়তো দেখত যে মুখ মানুষের ছিল আগে
ধর্ম সেটাকে রূপান্তরিত করেছে হিংস্র বাঘে
মানবতারূপী হরিণমাংস খুব সুস্বাদু তাই
যীশুখ্রিস্ট আজও ক্রুশবিদ্ধ হন ইরাক আর সিরিয়ায়।
                              
আজীবন আমি কোরানে,গীতায়,বাইবেলে মুখ গুঁজে
মাথা ঠুকে ঐ মসজিদ আর চার্চের গম্বুজে
আর মন্দিরে ঢুকে শত শত মণ তেল ঢেলে পিলসুজে
জাত কী খুঁজেছি, ধর্ম খুঁজেছি, পাইনি আজও খুঁজে।
বুঝিনি এ জাত কোনদিকে আসে,কোনদিক দিয়ে যায়,
ধর্মের ফলে কেন এ জগৎ ধ্বংসের কিনারায়?
যে জাত আসলে মানুষে-মানুষে একতার কথা বলে,
সেই জাতকেই বিকৃত করে বিভাজন কেন চলে!
যে ধর্ম শুধু ধারণ করে বোমা আর পিস্তল,
কেন সে ধর্মের জায়গা হয়না মহাসাগরের জল?
                            
আমার কোনো জাতটাত নেই,ছিল না তো কোনোদিন,
ধর্ম আমার ঠিক কোনটা-বলাটা খুব কঠিন;
চিরকাল আমি মানুষ ছিলাম, মানুষ‌ই থাকতে চাই
তাইতো আমি হেঁটে গেছি রোজ ইরাক আর সিরিয়ায়
হেঁটে গেছি আমি নাইজেরিয়ায়,হেঁটেছি পাকিস্তানে
যীশুখ্রিষ্টের রক্ত দেখেছি পড়ে আছে সেইখানে।
কোটি কোটি সাদা কঙ্কালের স্তুপের ওপর বসে
যখনই আমার দুই চোখ থেকে অশ্রু পড়েছে খসে,
তখনই দেখেছি নীল আকাশে তুলে এই মুখখানি
লক্ষ লক্ষ সাদা পায়রার পাখনার ঝাপটানি;
ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি তাদের পৃথিবীর নানা প্রান্তে,
তখনই আমার ইচ্ছে হয়েছে নতুন করে কাঁদতে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন